Posts

Showing posts from 2018

প্রত্যর্পণ

Image
রাজকুমার চক্রবর্তী কৃষ্ণকলির মেলাংকলি চোখ পলির মতো ঘামছে মাটি সজল শস্যশ্যামল মেঘ করেছে বৃষ্টি হবে আজ।  বৃষ্টি হবে বিরতিহীন আদিম কালের মতো আরো প্রাচীন বৃক্ষ হতে চুঁইয়ে পড়ে জল ফল ধরেছে গাছে গাছে জনমানুষ নেই, আহা জনমানুষ নেই!  আদর পাক এই পৃথিবী, এই মাটি-জল-নদী --- অতীত থেকে সুদূর বেয়ে নেমে আসুক ওরা বিশালদেহী ডাইনোসোরাস, ভূমিষ্ঠ হোক আজ তৃণভোজী প্রাণীর মতন কৃষ্ণকলি চোখ এই পৃথিবী ওদের ছিল, আবার ওদের হোক। ~ ~ ~ ~ ~ স্কুলের সার্ধ শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে...

সেই সময়ের কথা

Image
আদিতি কুণ্ডু (১৯৮৯) ১৯৮৭ সালে মাধ্যমিক পাশ করে যখন আমি আর্টস-এ ভর্তি হলাম তখন আমার ভালো লাগতো না স্কুলে যেতে। কেননা ঐ বছরেই ৪ঠা মার্চ আমি বাবাকে হারিয়েছিলাম। ঐ'সময় পরীক্ষা না পিছিয়ে গেলে হয়তো আমার মাধ্যমিক পাশ করাই হয়ে উঠতো না। বাবা ঐ স্কুলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বলে হয়তো আনন্দবাবু ও সুনীল শাহ আমাকে একটু আলাদা চোখেই দেখতেন। সে যাই হোক, ক্লাসে বেশীরভাগ পুরানো বন্ধুদের দেখা পেলাম। সায়েন্সের পার্থ, আর সুকান্ত তো সেই ছোট্টবেলার বন্ধু। ধীরে ধীরে ওই সেকশনের সংযুক্তা, মহুয়ার সাথেও বন্ধুত্ব হলো। আমার প্রথম স্কুলে গান গাওয়া মনে হয় নবীনবরণ উৎসবে। তারপর সরস্বতী পূজোয় (১৯৮৮) - তবে সেই বছর কালাশৌচ থাকায় পূজোর কাজ আমি করতে পারিনি। তবে সন্ধ্যাবেলার অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলাম, সেটা এখনও মনে আছে। আর হ্যাঁ, তার আগে বন্ধুদের সাইকেলে চেপে স্কুলে স্কুলে নিমন্ত্রণ পত্র বিলি করতে গিয়েছিলাম - সে এক দারুণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু ফিরে এসে শিববাবুর কাছে বকা খেতে হয়েছিলো। কেন আমি ছেলেদের সাথে গিয়েছিলাম? বাবা ছিলেন না বলেই হয়তো সবাই আমাকে শাসন করতেন। আর একটা খুব ভালোলাগার জিনিষ ছিলো, সেটা হলো স্কুলের ক্রিকেট ম্যাচ।

From Vanumati's Pitara

Image
রঞ্জিতা ভট্টাচার্য্য (1991) আমি মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে বেশ গর্বিত - বিশেষ করে চারপাশের ছেলেগুলোকে দেখে!! - না না, that was jokes apart - তবে একটা কারণে আমার (মেয়ে হয়েছি বলে কিন্তু নয়) মাঝে মাঝে স্কুলটাকে জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছা করতো - সেটা হলো " ওয়ার্ক এডুকেশন '-য়ের নামে মেয়েদেরকে সেলাই শেখানো। আজকাল WhatsApp করে করে এমন হয়েছে যে এখানেও মাথা চাপড়ানোর emoji-টা খুঁজে বেড়াচ্ছি !   যাই হোক, "সেলাই পিরিয়ডকে" আমি সবসময় hate করতাম। তো, একদিন হয়েছে কি, আমাদের লাস্ট পিরিয়ডটা ছিলো ওয়ার্ক-এডুকেশনের। আমি তখন ক্লাস টেন-এ পড়ি।  আমার কাজ ছিলো আগের পিরিয়ডের শেষে একটা চক্কর মেরে ওয়ার্ক-এডুকেশনের টীচার এসেছেন কি না, তা দেখে আসা। আমি সারা স্কুল খুঁজে (এমন কি আনন্দের আতিশয্যে টিচার্স রেস্টরুম পর্যন্ত গিয়ে !!) ওনাকে না-দেখতে পেয়ে আনন্দে নাচতে নাচতে এসে বন্ধুদের সুখবরটি দিলাম। সেই সময়ে আমাদের ক্লাস হতো স্কুলের দো'তলায়। পাশ্চাত্য পাড়ার পার্কটার পাশে যে গন্ডগোলের পুকুর, সেটা  ছিলো  ঠিক আমাদের জানালার তলায়। তো, জানালার ধারে বসে আমরা সবাই মজাসে আড্ডা মেরে চলেছি। হঠাৎ নজরে এলো একটা বয়স্ক

না, ছিলো না

Image
অতীন্দ্র দাঁড়িয়ারী  আমার আটপৌরে দেড়শো বছর পেরিয়ে যাওয়া ইস্কুলে হোয়াইট বোর্ড ছিলো না - খড়খড়ে ব্ল্যাকবোর্ড আর মাধ্যমিক বোর্ড ছিলো। স্মার্ট ক্লাসরুম আর ইন্ডিভিজুয়াল ডেস্ক ছিলো না - ছিলো ঘরের মেঝেতে ময়লা জমে থাকা সপ্তম শ্রেণী - ক আর সারি সারি নড়বড়ে পায়ার 'বেঞ্চি' - যাতে পাঁচজন প্রাণের বন্ধু একসাথে বসতাম। স্পেশাল রেমেডিয়াল ক্লাস ছিলো না - কেশব নাগের অংকের বইয়ে তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদরের ওঠানামা মাপতে মাপতেই গোঁফ এবং লেজ গজিয়ে গেছে আমাদের।  স্যুট টাই পরা টীচার্সদের কাছে পড়ার 'সৌভাগ্য' হয়নি আমাদের - 'ম্যানার্স' এবং 'ডেকোরাম' এর তালিমেও ঘাটতি থেকে গেছে বিস্তর - তবু বোকা কৈশোরের আমরা ধুতি শার্ট পরা ছাপোষা মাস্টারমশাইদের দেখলেই সিগারেট লুকোতাম - বিজয়ার পরে পায়ে হাত দিয়ে পেন্নাম ঠুকতাম। সেই বিরল এবং বিলুপ্ত প্রজাতির বাংলা মিডিয়াম ইস্কুলের মাস্টারমশাইরা - যারা সবাই হয়ত ভালো পড়াতেন না - কেউ একটু বেশীই মারকুটে ছিলেন - কারো নিরীহতার সুযোগে  পঞ্চম পিরিয়ড হয়ে উঠত মাছের বাজার - যাদের কাছে আমাদের বোকা বাবা মায়েদের আবদার ছিলো "মাস্টারমশাই - কোনো রকম অসভ্যতা দেখ

Alma Mater, লাইব্রেরী ও কিছু ছেঁড়া কথা

Image
স্কুল-কলেজকে যে “ আলমা ম্যাটার ” বলে তা প্রথম জেনেছিলাম নির্মলদার কাছ থেকে। নির্মলদা, অর্থাৎ নির্মল মিরাণী ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, গোড়খাড়া হাই স্কুলের ইংলিশের টিচার। তাঁর দাদা আর আমার দাদা  একই UBI ব্রাঞ্চে এক সময়ে কাজ করতেন। তারই সুত্র ধরে নির্মলদার সাথে আমাদের পরিচয়। এমনিতে তিনি কোনো প্রাইভেট ট্যুইশান করাতেন না। কিন্তু আমার দাদার অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেনি। অত:পর সপ্তাহে একদিন করে তিনি আমাকে ইংরাজী পড়াতে রাজি হয়ে যান। গোড়খাড়া স্কুল শেষে  ফেরার পথে, বিকালের দিকে  তিনি আমাদের বাড়িতে আসতেন, থাকতেন ঘন্টা দেড়েক। ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ  অবধি আমি তাঁর কাছে পড়েছিলাম। খটমট ইংরাজী সাহিত্যও যে কি ভীষণ ভাবে রসময় ও আকর্ষনীয় হয়ে উঠতে পারে তা আমি তাঁর কাছে কিছুদিন পড়ার পরই  'ফীল' করা শুরু করলাম। 'আলমা ম্যাটার' হলো গিয়ে একটি ল্যাটিন শব্দ, যার মানে "bountiful mother" -শিক্ষাস্থানকে যে 'আলমা ম্যাটার' বলা হয়, সেটা জেনে প্রথমে একটু অবাকই  হয়ে গিয়েছিলাম। তারপরে মনে হলো, নাহ: সেটাই তো হওয়া উচিত। মায়ের মতো না'হলেও স্কুলকে আমি চির'টা কালই যথেষ্ঠ ভালোবেসে এসেছি

First Get Together - 22nd Dec 2017

Image
একদিন আমরা সবাই মিলে সূর্য দেখবো বলে চললাম। টাইগার হিল থেকে সূর্য ওঠা দেখা ভীষণ মজার। সোনার থালায় ভ'রে, আবীর গুলাল নিয়ে ফাগুয়ার ফাগ খেলা খেলতে খেলতে না কি সূর্য আসে - তাই দেখবো বলে সকাল হবার আগে আমরা ক'জন মিলে চললাম।   টাইগার হিল,  টাইগার হিল ,  টাইগার হিল ... Few Golden Moments on YouTube : https://www.youtube.com/watch?v=Wli3TdCd53o   💟💢😊